তিন দিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত আরো একজন রোগী এখনো বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।
মঙ্গলবার বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তিনদিন আগে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেই তারা মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়ার পরে আমরা টেস্টগুলো করেছি, এর রিপোর্ট আমরা এখনও হাতে পাইনি। তবে ল্যাব থেকে জানানো হয়েছে, ওই রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছিল।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, মারা যাওয়া ওই রোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস ও কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে তিনি মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত। মৃত্যুর পর এটা জানা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনও বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।
সম্প্রতি ভারতে বিরল ছত্রাকজনিত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে বাংলাদেশেও উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যেই দুজন আক্রান্ত হওয়ার খবর এলো।
বারডেম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেকজনের শরীরেও ছত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়।
মিউকোরমাইকোসিস ছোঁয়াচে নয়। শরীরের যেকোনো স্থানে এর সংক্রমণ হতে পারে। নাকের আশপাশে, চোখে সংক্রমণ বেশি হয়। চোখে সংক্রমণ হলে তা দ্রুত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত এলাকায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ওই এলাকা কালো হয়ে যায়। তাই একে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলা হয়।
ভারতে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন এই ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছে।
//ইয়াসিন//